৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় আশিকুল ইসলাম আশিক (২৯) ও তার দলের সদস্যরা কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৮ এবং র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে রবিবার রাতে মাদারিপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আশিকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি অপরাধী চক্র ২০১২ সাল থেকে সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া বিভিন্ন হোটেলের ম্যানেজারদের যোগসাজশে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করত তারা।
অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে ২০১৪ সালে আশিক প্রথমবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
সর্বশষ গত ২১ ডিসেম্বর আশিক ও তার দলের সদস্যরা ওই নারী পর্যটকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয়, তারা ওই নারীকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে যায় এবং তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।
উল্লেখ্য,গত বুধবার (২২ নভেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫। এ ঘটনার পরের দিন জড়িতদের শনাক্ত করে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ভিকটিমের স্বামী।
ওইদিন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক এজাহার নামীয় আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওই মামলা ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর আগে রবিবার ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে এ ঘটনার এজাহার নামীয় অন্য দুই আসামি ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি