April 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 1st, 2022, 8:16 pm

চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের আদেশ বাতিল

ফাইল ছবি

চরদলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে তারা আর চাকরিতে ফিরতে পারছেন না।

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১ সেপ্টেম্বর (আজ) রায়ের জন্য দিন রাখেন। সে অনুযায়ী আজ রায় দেয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ মামলা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। এসব আপিলের ওপর ২৮ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। আজ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।

অন্যদিকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, প্রবীর নিয়োগী, সালাহ উদ্দিন দোলন ও কামরুল হক সিদ্দিকী।

—-ইউএনবি