অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের আগের সরকারগুলো বিশাল অংকের ঋণ নিয়ে স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডুবিয়েছে। এখন সেসব ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং বিশ্ববাজারে জরুরি পণ্যগুলোর ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এসব কারণে চাকরিজীবীদের বেতনবৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার পিটিভি কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়নের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এদিন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতিতে আজ বেতনভোগী শ্রেণিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মূল্যস্ফীতির অনুপাতে বেতনভোগীদের বেতন বাড়েনি। ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানে তেল উৎপাদন হয় না, গ্যাসের মজুদও কমছে। এ কারণে তেল-গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। অতীতে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎচুক্তি হয়েছে, বেশি দামে জ¦ালানি কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এসময় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পূর্ববর্তী সরকারগুলোকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশে অর্থ থাকলে মানুষকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব থেকে বাঁচাতে অন্তত ভর্তুকি দিতে পারতাম।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু