অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নানা সমালোচনা ও চাপের মুখে অবশেষে হুতিসহ ১৬৩ ইয়েমেনি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। মুক্তি পাওয়া যুদ্ধবন্দিদের প্রথম দলকে নিয়ে সৌদি আরবের একটি বিমান ইয়েমেনের উপকূলীয় এডেন শহরের বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের দাবি, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই মাসের জন্য যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়েছে তাকে সুসংহত করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে ইয়েমেন ও সৌদি আরবের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আরব জোটের মুখপাত্র জেনারেল তুর্কি আল-মালকি গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, তিন ধাপে সানা এবং এডেনে বন্দিদের পরিবহণের কাজ সম্পন্ন হবে। সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, প্রায় ১০৮ জনকে ইয়েমেনের অন্তর্বর্তী রাজধানী এডেনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ৯ জনকে হুতি নিয়ন্ত্রিত সানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া হুতিদের হয়ে লড়াই করা ৯ জন বিদেশি যোদ্ধাকে তাদের দেশের দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া জোটের পক্ষ থেকে আরও ৩৭ জন আহত যোদ্ধাকে সীমান্ত দিয়ে ইয়েমেনের প্রদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনটি বিমানে করে সৌদি আরব থেকে ১০০ জনের বেশি বন্দিকে ইয়েমেনে পাঠাতে সহযোগিতা করেছে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি। ইয়েমেনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দিদের ফেরত নিতে অস্বীকার করেছে সানার হুতিরা। তাই তাদের আবারও এডেনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং গাড়িতে করে তাদের গ্রাম ও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। গত সপ্তাহে আরব জোটের মুখপাত্র জেনারেল তুর্কি আল-মালকি বলেছিলেন, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী এবং আসারুল্লাহ আন্দোলনের ১৬৩ বন্দিকে আরব জোট মুক্তি দেবে। ইয়েমেনের মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং মিলিশিয়াদের সঙ্গে বন্দিবিনিময় আলোচনায় জড়িত সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য মাজেদ ফাদাইল এই মানবিক উদ্যোগের জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, হুতিরা জোটের হাতে বন্দি নিজেরদের সামরিক নেতাদের মুক্ত করতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের সমর্থনে সৌদি জোট ৭ বছর ধরে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই অভিযানের ফলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় হলেও সৌদি জোটের সামরিক সাফল্য নেই বললেই চলে। সূত্র: আরব নিউজ
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু