March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 18th, 2023, 8:51 pm

চাপ সামলে নিউ জিল্যান্ডের দারুণ জয়

অনলাইন ডেস্ক :

তিন বলে প্রয়োজন ৫ রান। ক্রিজে ইফতিখার আহমেদ থাকায় ম্যাচ ঝুঁকে ছিল পাকিস্তানের দিকে। পাল্টা আক্রমণে দলকে লড়াইয়ে ফেরানো এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার পারলেন না ম্যাচ শেষ করে আসতে। স্নায়ু চাপ সামলে নিউ জিল্যান্ডকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন জেমস নিশাম। লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চের ভেলায় চেপে ৪ রানে জিতেছে সফরকারীরা। ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে শেষ বলে পাকিস্তানকে ১৫৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা। ইফতিখার ঝড়ে দিক পাল্টানো ম্যাচে জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল নিউ জিল্যান্ড। ৫ ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে। শেষ তিন বলে একটি বাউন্ডারি এলে ম্যাচ গড়াত সুপার ওভারে। কিন্তু ছক্কার চেষ্টায় ইফতিখারের পর হারিস রউফও ক্যাচ দিয়ে ফিরলে নিউ জিল্যান্ড পায় দুর্দান্ত জয়। ২৪ বলে ছয় ছক্কা ও তিন চারে ইফতিখার করেন ৬০ রান। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে সফরকারীরা পায় নাটকীয় জয়। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একটু সাবধানী শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। চ্যাড বাওয়েসের উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে তোলে কেবল ৩৫ রান। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ২ উইকেটে ৬৪। এরপর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন টম ল্যাথাম। ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। সে সময় ১৮০ রানও অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছিল না। মিচেলকে (২৬ বলে ৩৩) ফিরিয়ে ৪৩ বল ৬৫ স্থায়ী রানের জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন ল্যাথাম। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা রউফ ভাঙেন তার প্রতিরোধ। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ৪৯ বলে দুই ছক্কা ও সাত চারে করেন ৬৪ রান। ৯ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মার্ক চাপম্যান। ছোট্ট দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন নিশাম ও রাচিন রবীন্দ্র। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৯৯ রান যোগ করে নিউ জিল্যান্ড। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফলতম বোলার রউফ। নিজের পঞ্চাশতম টি-টোয়েন্টিতে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন আফ্রিদি। রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম ফেরেন কেবল ১ রানে। রান আউট হয়ে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই থামেন সাইম আইয়ুব। অনেকটা সময় ক্রিজে থাকলেও স্বস্তিতে ছিলেন না ফখর জামান। দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম ও আফ্রিদি। পাকিস্তানের প্রথম ছয় জুটির কোনোটিরই স্ট্রাইক রেট একশর বেশি ছিল না। পরিস্থিতি পাল্টায় দ্বাদশ ওভারে ইফতিখার ক্রিজে যাওয়ার পর। সে সময় স্বাগতিকদের রান ছিল ৬ উইকেটে ৬৪। শাদাবের সঙ্গে ১৪ বলে ২৪ রানের জুটিতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ইফতিখার। দারুণ সঙ্গ পান ফাহিম আশরাফ। দুই জনে অষ্টম উইকেটে ২৬ বলে উপহার দেন ৬১ রানের জুটি। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাট হেনরিকে ছক্কায় ওড়ান ফাহিম। সে সময় স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ১০ বলে ১৫ রান। ছক্কার চেষ্টায় ফাহিম ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ওভারের শেষ তিন বল নাসিম শাহকে ডট খেলান হেনরি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম বল ছক্কায় ওড়ান ইফতিখার। এক বল পর মারেন আরেকটি চার। সমীকরণ হয়ে যায় সহজ। কিন্তু নিশামের ঠা-া মাথার বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। আগামী বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে হবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (ল্যাথাম ৬৪, বাওয়েস ৭, ইয়াং ১৭, মিচেল ৩৩, চাপম্যান ১৬*, নিশাম ১০, রবীন্দ্র ৮*; আফ্রিদি ৪-০-৩৩-২, নাসিম ৪-০-৩০-০, ফাহিম ২-০-১২-০, রউফ ৪-০-৩১-২, শাদাব ৪-০-৩৪-১, ওয়াসিম ২-০-২২-০)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৯ (রিজওয়ান ৬, বাবর ১, ফখর ১৭, আাইয়ুব ১০, শাদাব ১৬, ওয়াসিম ৩, আফ্রিদি ৬, ইফতেখার ৬০, ফাহিম ২৭, নাসিম ০*, রউফ ০; হেনরি ৪-০-২৭-১, মিল্ন ৪-০-৩৭-২, লিস্টার ২-০-১১-০, সোধি ৩-০-১১-১, নিশাম ৪-০-৩৮-৩, রবীন্দ্র ৩-০-২৮-২)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: টম ল্যাথাম