অনলাইন ডেস্ক :
মহামারি করোনার বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত ৭ দিনব্যাপী কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ সোমবার। করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টে বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে আবারো খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার। তবে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে তিন ক্ষেত্রেই সীমিত পরিসরে হবে লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে ব্যাংক লেনদেন চালু থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল বা প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা সীমিতসংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা থাকছে। অন্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে ১টি শাখা খোলা এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংকে ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় সর্বোচ্চ ২টি শাখা খোলা থাকছে।
এর আগে, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারের সঙ্গে রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রেখে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিন ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত করা হয়।
সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলার এ নির্দেশনা আসলেও ব্যাংক হলিডের কারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে টানা চারদিন বন্ধ থাকে ব্যাংক।
গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয়ার পরপরই পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি