November 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 19th, 2022, 9:20 pm

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যার প্রতিবেদন ২৬ জুন

অনলাইন ডেস্ক :

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ঢাকার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিনের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদকে রিমান্ড চলাকালীন হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আসামি নোবেল এবং ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আসামি ফরহাদ জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে ১৮ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। এ ছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। পরে ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টার জন্য পিবিআইকে খবর দেওয়া হলে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর তার নাম-পরিচয়, বয়স ও বাসার ঠিকানা শনাক্ত করে পিবিআই। চিত্রনায়িকা শিমুর লাশ রাখা হয় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে। সেখানে যাওয়ার পরই শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে আটক করে র‌্যাব। আটককালে তাদের কাছ থেকে একটি রক্তমাখা প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করে র‌্যাব। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খ-িত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক অভিনেত্রী শিমুর। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও অমিত হাসানসহ বেশ কিছু তারকার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনা করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।