অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে দেশটিকে সতর্কতা জানাতে কোয়াড (জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র) নেতারা মঙ্গলবার (২৪ মে) টোকিওতে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। কোয়াডের শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপে প্রস্তুত থাকবে। এর জবাবে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’। ধারণা করা হচ্ছে, এই সম্মেলন চীনকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। কোয়াড সম্মেলনের শুরুতে বাইডেন বলেছেন, এটি গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার প্রশ্ন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমরা কী ভূমিকা পালন করব। চীনা সামরিক আক্রমণাত্মক তৎপরতা, নৌ মহড়া ও মাছ ধরার জাহাজের অনধিকার প্রবেশসহ চীনের সামরিক কর্মকা-ে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ছে। এর ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি ও বিপজ্জনক সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য গত মাসে বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সপ্তাহে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সফর করবেন। তিনি ভানুয়াতু, সামোয়া, টোঙ্গা ও কিরিবাতিসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ওই নিরাপত্তা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই উদ্বেগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কোয়াড সদস্যদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের কথা মনোযোগী হওয়ার ও তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে সহায়তার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে চলা ছাড়া কোয়াড সফল হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক সহযোগিতা’ গভীর করতে সহায়তাসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জন্য আরও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক সামুদ্রিক গতিবিধি নিরীক্ষণের জন্য কোয়াড দেশগুলো মঙ্গলবার সম্মত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে। কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, আঞ্চলিক দেশগুলো জলসীমায় ও একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে কী ঘটছে সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বাইডেন, কিশিদা, আলবেনিজ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ঐক্যফ্রন্ট উপস্থাপন করতে চাইবেন। তবে পর্দার আড়ালে বিভাজন রয়েছে। ভারতই একমাত্র কোয়াড সদস্য দেশ যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি। বাইডেন বারবার মস্কোর প্রতি কঠোর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলছেন, চীনের মতো অন্য দেশগুলো রাশিয়ার আগ্রাসনকে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনায় বাধা সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২