November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, December 17th, 2021, 8:26 pm

চীনের জিনজিয়ান প্রদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত

অনলাইন ডেস্ক :

চীনের জিনজিয়ান প্রদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো পণ্য আমদানি করতে গেলে নিশ্চিত করতে হবে ওইসব পণ্য উৎপাদনে জোরপূর্বক কোনো শ্রমিককে নিয়োগ করা হয়নি। চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরদের দমনে গণহত্যার অভিযোগে আনার পর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চীনা পণ্য আমদানি সংক্রান্ত বিলটি পাস হয়েছে। কোকা-কোলা, নাইকি এবং অ্যাপলসহ এই অঞ্চলে ব্যবসা করে এমন নামী কোম্পানিগুলো এই বিলের তীব্র সমালোচনা করছে। বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে একজন সিনেট সদস্য ব্যতিত সবাই এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই বিলের পক্ষে হোয়াইট হাউজেরও খুব একটা সায় ছিল না। উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক বিভিন্ন কাজে নিয়োগ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই বিলটি আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিলে সাইন করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর পর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতিতে পণ্য সরবরাহ (সাপ্লাই চেইন) বড় একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে বাজারে ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, ‘ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, যারা এই আইনটি সম্পর্কে জানে, তারা ইতোমধ্যেই নিজেদের সাপ্লাই চেইনের ব্যাপারটি সামলে নিয়েছে। কিন্তু যারা এখনও তা করেননি, তারা সুস্পষ্টভাবেই গণহত্যাকারীদের সহযোগী।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ চীনের ত্রিশটির বেশি প্রযুক্তি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের সহযোগীদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন না করতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে। চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে গেলে বিশেষ সনদ হতে হবে মার্কিন ব্যবসায়ীদের। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ অভিযোগ করেছে, চীনের মিলিটারি একাডেমি ও মেডিকেল সায়েন্স চীনের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করতে এমন এক জৈবপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যা মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীন তার জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের দমন করার জন্য এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ গত বৃহস্পতিবার আটটি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘বাজার অর্থনীতি ও ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতিবিরুদ্ধ এমন পদক্ষেপ শিল্প ও সাপ্লাই চেইনের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিধিগুলোকে দুর্বল করবে।’