অনলাইন ডেস্ক :
কোভিডের পর থেকেই চীনে কমতে থাকা জন্মের হার নিয়ে চিন্তায় সেদেশের সরকার। বেইজিং, সাংহাই-সহ বিভিন্ন শহরের চিকিৎসাকেন্দ্রে শুক্রাণুর ভান্ডর প্রায় শূন্য। তাই কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছে শুক্রাণু দান করার অনুরোধ জানিয়ে সমাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো। চীনের ইউনান প্রদেশের একটি ব্যাংক প্রথম তরুণদের কাছে এমন আবেদন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। শিক্ষার্থীদের হাতখরচ এবং দেশের স্বার্থেও কাজ হবে- এই মর্মে পোস্ট করা হয়। তারপর থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’কোটি ৪০ লাখ মানুষের নজরে এসেছে বিষয়টি। ওই সংস্থার সূত্র ধরেই দেশের অন্য প্রদেশের স্পার্ম ব্যাংকগুলোও তাদের সামাজিক মাধ্যমের পাতায় শুক্রাণু দাতাদের যোগ্যতা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের কথা প্রকাশ করেছে। ইউনানের একটি ব্যাংক জানিয়েছে, লম্বায় ১৬৫ সেণ্টিমিটারের বেশি, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের যদি কোনো রকম সংক্রামক, জিনগত রোগের ইতিহাস না থাকে, তবে তারা শুক্রাণু দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিনিময়ে প্রত্যেককে চার হাজার ৫০০ ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। আবার সাংহাই প্রদেশের অন্য একটি ব্যাংক তাদের দাতাদের উচ্চতার জন্য ১৬৮ সেন্টিমিটারের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। বিনিময়ে পাঁচ হাজার ইউয়ান বা ৭৭ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চীনে জনসংখ্যার হার এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, কিছুদিন আগেই সেদেশের ‘দুই সন্তান নীতি’ আইন তুলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু