গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই চুয়াডাঙ্গায় সোমবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সোমবার (১ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাঠফাটা রোদে জনজীবন অতিষ্ঠ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কর্মজীবীরা, বিশেষ করে দিনমজুররা। পাকা রাস্তায় হাঁটার সময় তীব্র গরমে নাক-মুখ জ্বলছে। গতকাল বৃষ্টিপাত হলেও অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পায়নি জেলাবাসী। ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।
সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও, তা রোদ উঠলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম বাতাস অনুভূত হচ্ছে। রাস্তায় চলাফেরা কমে গেছে মানুষের এবং মাথার উপর কোনো আচ্ছাদন দেওয়া ছাড়া হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না।
চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরেরা।
রিকশাচালক রহিম আলী বলেন, গরম পড়ায় রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে সংসার খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আবার রোজার মাস। মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভাড়া নেই বললেই চলে।
আখের রস বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, বছর জুড়ে আখের রস বিক্রি হলেও রোজা আসার পর তাপমাত্রা বাড়ায় এর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এমনিতেই পাড়া মহল্লায় আখের রসের ভালো চাহিদা রয়েছে। তার ওপর রোজা আসায় বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
শরবত বিক্রেতা জাফর মল্লিক বলেন, রোজার মাসে স্বাভাবিকভাবে অন্য সময়ের মতো শরবত বিক্রি হয় না। ইফতারির সময় সারাদিনের বিক্রি একবারে হয়ে যায়। তারপরও তাপমাত্রা বাড়ায় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, এ সময়ে দেশের সর্বত্র মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু কয়েক দিন থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে গেছে। গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও তা রোদে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
রকিবুল হাসান বলেন, সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি