চুয়াডাঙ্গায় গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময়কাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৩ মে) বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ত্রি-পাক্ষিক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, আম ব্যবসায়ী কাজল, আয়ুব আলী, লাজুক, শামসুল মাষ্টার ও মিজানুর রহমান মিজান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
উক্ত সভায় বলা হয়- ১৬ মে থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি জাতের, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা (বারি-৪ জাতের) আম সংগ্রহ শুরু হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘জেলা ব্যাপী আম সংগ্রহের যে সূচিটি দেওয়া হয়েছে তার বাইরে কেউ অপরিপক্ষ আম পাড়তে পারবে না। কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। এছাড়া আম পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি