April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, January 7th, 2023, 1:41 pm

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। শনিবার দেশের ও এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যটি জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। শুক্রবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯৫ শতাংশ। এছাড়া রবিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার মাত্রাও বেড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।

এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।

বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন মালিক বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই, কিন্তু শনিবার একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর রোদও উঠেনি, সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস তো আছেই।

জবান আলী নামের এক দিনমজুর বলেন, শনিবার ভোরে কাজে যেতে পারিনি শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি। আল্লাহ ভরসা।

এদিকে, শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশুওয়ার্ডসহ অন্যান্য ওয়ার্ডে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আর প্রতিদিন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হচ্ছে শতাধিকের মতো।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় এ জেলায় দেশের এবং মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আর এক থেকে দু‘দিন।

—-ইউএনবি