November 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 1st, 2024, 8:55 pm

চেরাপুঞ্জিতে ঢল, ফের পানিবন্দি সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা

প্রথম দফার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদনদীর পানি।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ডুবেছে সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আর এতে আবারও বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন ভাটির এ জেলার ২৫ লাখ মানুষ।

এদিন ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট ও পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট।

এমনকি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবারও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক এখন পানির নিচে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওইসব অঞ্চলের পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে।

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘সকল নদীর পানি আবারও বাড়ছে। সড়কে পানি ওঠায় জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন সুনামগঞ্জে যেতে হচ্ছে নৌকায়। বন্যা আমাদের অবস্থা একদম নাজেহাল করে দিচ্ছে।’

পৌর শহরের খালেদ আহমেদ বলেন, ‘পানি যেভাবে বাড়ছে, আবারও যদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের অবস্থা বেহাল হয়ে যাবে।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি এরইমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমে গেলে নদনদীর পানি কমে যাবে। আর এখন যেহেতু পানি বাড়ছে, সেক্ষেত্রে জেলায় স্বল্পমেয়াদী একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

—–ইউএনবি