ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ের সময়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
সাঈদ মেহেদী কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর তাহমিনা আক্তার মিনা (২২) মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান সাইদ দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম ঘরের ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিয়ের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে ওই তরুণী। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি