অনলাইন ডেস্ক:
মৌসুমের শেষের দিকে এসে দেশে বিস্তৃত হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। বর্তমানে অন্তত ছয় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বর্তমানে চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও প্রায় পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। এরমধ্যে দুধকুমারের পানি কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাবনার মথুরায় যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পদ্মার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর গড়াই নদীর পানি ফরিদপুরের কামারখালিতে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। এ ছাড়া যমুনা নদী মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে ও আত্রাই নদী সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে দেশের প্রায় ১০টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সুরমা-কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আজ রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে তিস্তা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। পাউবো জানিয়েছে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে শনিবার (২১ আগষ্ট) পানির সমতল বেড়েছে ৬৪টি স্টেশনে। কমেছে ৪২টিতে। অপরিবর্তিত আছে দু’টি স্টেশনের পানির সমতল। একটির তথ্য সংগ্রহ এখনও শুরু হয়নি। আর চারটি স্টেশনে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি