রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে তিন যুবকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের সময় চরমপন্থী বার্তার লিফলেট, বই জব্দ করার দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)।
জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়ার জন্যই তারা বাড়ি ছাড়া হয়েছিল বলে সোমবার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন জেলা থেকে নিখোঁজ মোট ৫৫ জনকে শনাক্ত করেছেন, যারা জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেয়ার জন্য বাড়ি ছেড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে দু’জন তুলনামূলকভাবে সিনিয়র, জঙ্গি গোষ্ঠীর মদতদাতা এবং তহবিল সরবরাহকারী হিসেবে গ্রুপের সঙ্গে কাজ করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কুমিল্লার শাহ মো. হাবিবুল্লাহ (৩২) ও নেয়ামত উল্লাহ (৪৩), নোয়াখালীর নিখোঁজ যুবক সাইফুল ইসলাম (১৯) ও মো. হোসেন (২২) এবং ঢাকার রাকিব হাসনাত নিলয় (২৮)।
এর আগে ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর উপজেলা থেকে আট যুবক নিখোঁজ হয় এবং দু’দিন পর এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। এরপরেই র্যাব ভিকটিমদের উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তদন্ত শুরু করে।
গত ১ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ যুবকদের একজন শারতাজ ইসলাম নিলয়(২২) বাড়ি ফেরেন।
গত ৬ অক্টোবর নিলয়কে জিজ্ঞাসাবাদে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিখোঁজ চার যুবকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, প্রথমে সংগঠনটির সদস্যরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যুবকদের টার্গেট করতো।
পরবর্তীতে তারা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে যুবকদের চরমপন্থায় উস্কে দেয় এবং সশস্ত্র হামলার জন্য তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
গ্রেপ্তার হওয়া হোসেন এক বছর আগে বাড়ি থেকে চলে যায়, সাইফুল দেড় মাস আগে আর রাকিব দুই মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নিখোঁজ যুবকদের সশস্ত্র হামলার প্রশিক্ষণের জন্য পটুয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
যুবকদের পটুয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন চর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেফ হাউসে রেখে শারীরিক কসরত ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, আড়ালে থাকার কৌশল হিসেবে, তাদের রাজমিস্ত্রী, চিত্রশিল্পী, ইলেকট্রিশিয়ানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ