ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার নায়েব-ই-আমিরকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়ে মহিবুল্লাহকে দু’টি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করে।
বুধবার সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখ।
ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, মহিবুল্লাহ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পার্বত্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার পর খুতবা দিতেন এবং উদ্বুদ্ধ করতেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ধর্মীয় শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করার পর নতুন নিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘জিহাদের’ জন্য প্রস্তুত করাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।
কিছুদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে থাকার পর মহিবুল্লাহ ঢাকায় ফিরে আসেন এবং এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ জোরদারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মহিবুল্লাহ ঢাকা, সিলেট ও কিশোরগঞ্জে তৎপরতা জোরদার করতে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর মাদ্রাসায়ও যেতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসার ছাত্রাবস্থায় মহিবুল্লাহ নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) একজন সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। তিনি হুজি-বি-এর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও ‘জিহাদি প্রশিক্ষণ’ নিয়েছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম