April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 12th, 2022, 8:16 pm

জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট

ফাইল ছবি

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আলোচিত সেই জজ মিয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটি করার অনুমতি নেয়া হয়।

এতে জজ মিয়াকে ফাঁসানোর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। জজ মিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব এ রিট দায়ের করেন।

স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে জজ মিয়াকেক ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের প্রতি গত ১১ আগস্ট এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। পরে ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।

২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে।

—-ইউএনবি