জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম