অনলাইন ডেস্ক :
রানিয়া আল-ইয়াসিন কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তিনি বাবা-মার সঙ্গে কুয়েত থেকে জর্ডানে পালিয়ে যান। খবর আনন্দবাজারের। রানিয়া সেখানে গিয়ে সিটি ব্যাংকে বড় পদে চাকরি পান। পরে অবশ্য সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। রানিয়া যোগ দেন অ্যাপলের আম্মান অফিসের বিপণন বিভাগে। জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহর বোন ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে এক সহকর্মীর সঙ্গে উপস্থিত হন। সেখানেই আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা এবং প্রথম দেখাতেই প্রেম। কুয়েতে জন্ম নেওয়া এই নারীর সঙ্গে প্রেমে পড়ার মাত্র দুমাসের মধ্যে বাগদান পর্ব সারেন আবদুল্লাহ। ওই বছরই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার নাম হয় রানিয়া আল আবদুল্লাহ। আবদুল্লাহই জর্ডানের একমাত্র বাদশা, যিনি একের বেশি বিয়ে করেননি। পোশাক এবং জীবনযাপনের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরেও ‘ফ্যাশন আইকন’ হিসেবে জনপ্রিয় রানিয়া। সৌন্দর্যের কারণেও চর্চায় থাকেন তিনি। শিক্ষা এবং দেশের নারীদের সার্বিক উন্নতির জন্য তিনি নিয়মিত কাজ করেন। ফোর্বস পত্রিকার বিচারে বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় রানিয়ার নাম প্রায় প্রতি বছরই উঠে আসে। সামাজিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং চারটি সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন রানিয়া। সাহিত্যচর্চার প্রতিও বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে রানিয়ার। ছোটদের জন্য চারটি সাহিত্য লিখে ফেলেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি জর্ডানের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফেসবুকে রানিয়ার অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। টুইটারে ফলোয়ার প্রায় ৫০ লাখ। ইনস্টাগ্রামে ২০ লাখ মানুষ তাকে ফলো করেন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু