অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মার্কিন জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরিকে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে মস্কো ও ওয়াশিংটনের একটি অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। কেননা, এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন পটভূমির একটি বিরল ক্ষেত্র। বুধবার ক্রেমলিন একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মস্কো সফররত কেরির সাথে টেলিফোনে আলাপকালে পুতিন বলেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থ ও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে সেসবের অন্যতম হচ্ছে জলবায়ু সমস্যা।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মকর্তাদের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা করতে এ সপ্তাহ রাশিয়ায় রয়েছেন এবং এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে দেশটিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
পুতিন বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে মস্কোর ‘সংযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ে ‘অ্যাডভোকেট ডি-পলিটিসাইজিং’ সংলাপ অপরিহার্য।
গত মাসে জেনেভায় সম্মেলনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে পুতিনের সাক্ষাতের পর এ দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি বিরল নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু প্রশ্নে এমন মন্তব্য করা হয়।
মস্কো কেরির সফরকে স্বাগত জানায় এবং তারা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে।
মানব সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতার ব্যাপারে বছরের পর বছর ধরে পুতিনের সংশয়বাদ মন্তব্যের জন্য তার অখ্যাতি রয়েছে এবং বলা হয়, এ ক্ষেত্রে রাশিয়া এমন অবস্থান নিয়ে মস্কো তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে করা বিভিন্ন মন্তব্যে তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কোনভাবেই মস্কোর জন্য আর্শিবাদ নয়।
এদিকে পুতিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্র পেসকভ বুধবার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নি:সরণ রোধ হচ্ছে রুশ নেতার ‘শীর্ষ এজেন্ডা’।
তিনি বলেন, জলবায়ু এমন একটি ইস্যু ‘যেখানে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সংলাপ সম্ভব এবং প্রয়োজন।’
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পুতিন কেরির সাথে ‘উত্তর মেরু সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবেশগত সহযোগিতার সম্ভাবনা’ নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২