অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার যে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা সোমবার দেশটির সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়, যে সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের একজন নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হয় জাওয়াহিরিকে। খবর রয়টার্সের। বেসামরিক বিমান ছিনতাই করে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিসরীয় চিকিৎসক জাওয়াহিরিকে, যিনি সে সময় ছিলেন ওসামা বিন লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা। আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন কমান্ডো হামলায় নিহত হওয়ার পর জাওয়াহিরি সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার ভোরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সিআইএ- এর চালানো ড্রোন হামলায় নিহত হন জাওয়াহিরি। সেই খবর নিশ্চিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ এদিকে, আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার খবরকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আয়মান আল-জাওয়াহিরির মৃত্যু নিরাপদ বিশ্বের দিকে একটি পদক্ষেপ। সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচার এবং সারা বিশ্বের মানুষকে নিরাপদ রাখতে বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে কানাডা।’
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২