নিজস্ব প্রতিবেদক:
পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা। আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে জাটকা শিকার, সংগ্রহ, মজুত কিংবা বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সময় জেলেরা যাতে জাটকা শিকার না করে সেজন্য তাদেরকে বিশেষ ভিজিএফ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা জাটকা শিকার কিংবা বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানারও ব্যবস্থা থাকছে। আর নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে অভিযান সফল করতে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও কাজ করবে। পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশের বাচ্চাকে জাটকা বলে। গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। ইলশের সেসব ডিম এখন জাটকায় পরিণত হচ্ছে। এই আট মাসে জাটকাগুলো যাতে বড় সাইজের ইলিশে পরিণত হতে পারে সেজন্য আট মাস জাটকা শিকার বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় ৬৭ হাজার ৬৮০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর ৫৩ হাজার জেলেকে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। একিকে এ বছর ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৭০ জন জেলেকে গাভী গরু প্রদান করা হচ্ছে। জেলেরা যাতে মাছ শিকারের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সেজন্য সরকার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তবে জেলেরা বলছেন, টানা ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিশেধাজ্ঞা থাকায় তারা সেসময় মাছ শিকার করেননি। অবরোধ শেষ হলে ২৫ অক্টোবর মাছ শিকারে নামলেও তাদের জালে কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে অভাব অনটনে চলছে জেলে পরিবারগুলো। এদিকে জেলেরা যাতে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ ছোট ফাসেঁর জাল ব্যবহার না করে সেজন্য এবার জেলেদের মাঝে বৈধ জাল বিতরণ করার কথাও জানায় মৎস্য বিভাগ।
আরও পড়ুন
সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: ইউএনএসকাপ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-কাতার সই করল ১০টি সহযোগিতা নথি