অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ব্যাপারে যখন দুই পক্ষ পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইয়েমেন এবং সৌদি আরব দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মনে করে এই যুদ্ধবিরতি একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সহায়তা করবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইয়েমেনের জাতীয় প্রতিনিধিদল সম্ভবত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারেন কারণ গত এপ্রিল মাস থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এবং পরবর্তীতে তা আরেকবার বাড়ানো সত্বেও এ পর্যন্ত ইয়েমেন সংকট সমাধানের কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। যুদ্ধবিরতির পরও ইয়েমেন সরকার তাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দেয়ার যেমন কোনো ব্যবস্থা করতে পারছে না, তেমনি জ্বালানি এবং ওষুধসহ জরুরি পণ্য ঠিকমতো আমদানি করতে পারছে না। এ ছাড়া ইয়েমেনের সমুদ্র ও বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়নি। ২০১৬ সালে সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর সামরিক আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন স্থগিত রেখেছে সানা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যদিও ইয়েমেনের জনগণের জন্য যুদ্ধবিরতির সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার কথা বলছে তবে ইয়েমেনের পেট্রোলিয়াম কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরব এখনো জ্বালানি আমদানির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে রেখেছে। ইয়েমেনিরা বলছেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এজন্য ইয়েমেনের প্রতিনিধিদল বারবার বলছে, তারা আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায় যাতে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। পার্সটুডে
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু