July 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 6th, 2024, 7:24 pm

জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, সব ধরনের ‘বিচক্ষণ নীতি ব্যবস্থা’ অনুসরণ আগামী অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মধ্যমেয়াদে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তার ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

চলতি বছরের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রথম জাতীয় বাজেট।

মাহমুদ আলী তার প্রথম বাজেটে বলেন, বিচক্ষণ ও যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি তার গতি বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, যা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।

কোভিড-১৯ মহামারির ঠিক এক বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে রেকর্ড গড়েছিল দেশ ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ (অস্থায়ী) প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়, যা আমাদের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তির প্রমাণ।

ভবিষ্যতে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্প উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সব ধরনের যৌক্তিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

মাহমুদ আলী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর লক্ষ্যে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।

ঋণের সরবরাহ এবং ব্যাংকার ও গ্রাহকের মধ্যে সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ঋণের চাহিদা ও সুদের হার নির্ধারিত হবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি সফল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

রাজস্ব খাতেও সহায়ক নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ড ও ওএমএস কর্মসূচির মতো সরকারি সহায়তা জোরদার করা হচ্ছে।’

—–ইউএনবি