অনলাইন ডেস্ক :
কিছু কারখানায় এখনই উৎপাদন শুরু করতে পারছে না জাপানের বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টয়োটা। সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, আরও কিছুদিন জাপানের কিছু কারখানায় তাদের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অনেকদিন ধরেই সাপ্লাই চেইন ইস্যুর কারণেবিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে টয়োটা। বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তাদের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে উৎপাদনের সময় নষ্ট হলে এর প্রভাব পড়বে ল্যান্ড ক্রুজার এবং লেক্সাসের ওপর। কোম্পানি বলছে, সর্বশেষ উৎপাদন বন্ধের কারণে ডিসেম্বরে ১৪ হাজার গাড়ির উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসিকে এক ইমেইলের মাধ্যমে টয়োটা জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার করোনা সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় এবং জাপানের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সরবরাহকারীদের কম উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় তারা উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানি বলছে যে, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তারা বার্ষিক বৈশ্বিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে চায়। তারা বলছে, আমরা ৯০ লাখ ইউনিট বজায় রাখতে চাই, তবে আমরা পরিস্থিতির উপরও গভীর নজর রাখছি। এর আগে গত আগস্টে, কম্পিউটার চিপের ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল জাপানের এই অটোমেকার কোম্পানি। টয়োটার প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল মোটরস, ফোর্ড, নিসান, ডেইমলার, বিএমডব্লিউ এবং রেনাল্টসহ অন্যান্য কোম্পানিকেও উৎপাদন কমিয়ে আনতে হচ্ছে। করোনা মহামারির পাশাপাশি, জাপানে কম্পিউটার চিপের বৃহত্তম সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বড় ধরনের অগ্নিকা-ের কারণেও গাড়ির নির্মাণ ও উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছে। গত মার্চে রেনেসাস সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা যেসব অর্ডার পেয়েছে তা সে অনুযায়ী পুরোপুরি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ