অনলাইন ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে গিয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানায়। কয়েক সপ্তাহ আগে একই ধরনের একটি অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়াও। এর আগে গত জানুয়ারিকে পিয়ংইয়ং সাবমেরিন থেকে নতুন ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এ সময় তারা দাবি করেছিল, এটা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানরা যখন উত্তর কোরিয়া নিয়ে বৈঠক করছেন, তখনই এ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তাদের দাবি, তারা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু উত্তর কোরিয়া তা সত্ত্বেও ব্যলেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেন, উত্তর কোরিয়া একটা ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সিনপো বন্দর থেকে ছোড়ে। সেটা জাপান সাগরে গিয়ে পড়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এ আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। দক্ষিণ কোরিয়াও অবশ্য নিজস্ব অস্ত্র তৈরি করছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই কোরিয়া এখন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী শুরু করেছে। তারা খুব তাড়াতাড়ি মহাকাশেও রকেট পাঠাবে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ চান না। কিন্তু উত্তর কোরিয়া আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র বানাবে। তিনি উত্তেজনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু