April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, May 11th, 2022, 8:54 pm

জামালপুরে জনবল সংকটে বন্ধ ১০টি রেলস্টেশন

জেলা প্রতিনিধি:

স্টেশন মাস্টারসহ প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথের ১০টি স্টেশন। স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে তালাবদ্ধ স্টেশনের বিপদজনক সিগন্যাল অতিক্রম করে চলাচল করছে আন্তঃনগর, মেইলসহ ২৬টি ট্রেন। ফলে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বন্ধ স্টেশনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্টেশনমাস্টারসহ লোকবল নিয়োগের পর বন্ধ স্টেশনগুলো অতি শিগগির সচল করা হবে। সরেজমিনে জামালপুর পৌর এলাকার কোর্ট স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন আসছে-থামছে, আবার ছেড়েও যাচ্ছে। আছে যাত্রীদের ঠাসাঠাসি ভিড়। তবে স্টেশন তালাবদ্ধ থাকায় কোন ট্রেন কখন আসবে, টিকিট কে দেবে জানেন না কেউ। কোর্ট স্টেশন এলাকার কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই তাদের দুর্ভোগ। স্টেশনে এসে আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কখন ট্রেন আসে কখন যায় তার কোনো ঠিক নেই। স্টেশনে কোনো লোকও নাই যে, ট্রেনের সময় নিয়ে জিজ্ঞেস করা যায়। মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ স্টেশনেও দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে এক বলেন, স্টেশনমাস্টার নাই। এ ছাড়া কোনো লোকও নাই। কার কাছ থেকে টিকিট কাটবো বুঝতে পারছি না। এভাবেই প্রতিনিয়ত আমার মতো সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুধু কোর্ট স্টেশন ও দুরমুঠ স্টেশনই নয়, প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় জেলার মোশারফগঞ্জ, জাফরশাহী, বাউসি, বয়ড়া, শহীদনগর বারইপটল, হেমনগরসহ অন্তত ১০টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় নিয়মিত সিগন্যাল ক্লিয়ারেন্স, টিকিট বিক্রি, মালামাল বুকিংসহ বন্ধ রয়েছে সব কার্যক্রম। স্টেশনের সিগন্যাল পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টাই থাকে বিপদজনক সংকেত। রাতে বিরাজ করে ভূতুড়ে পরিবেশ। সন্ধ্যার পর নিরাপত্তার অভাবে যাত্রীরা থাকেন শঙ্কিত। এ অবস্থাতে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন বহু দূর-দূরান্তে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে বন্ধ স্টেশনগুলো সচলে আহ্বান তাদের। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ছয়টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে জাফরশাহী, বাউসি, বয়ড়া প্রায় ১৫ থেকে ৩০ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে। স্টেশন মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এসব স্টেশন সচল হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখনো স্টেশনগুলো বন্ধই রয়েছে। মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে বন্ধ স্টেশনগুলো আবারও সচল হবে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।