April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 1st, 2022, 7:30 pm

জায়েদ-নিপুণের পদ নিয়ে শুনানি শেষ, আদেশ কাল

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্বে হাইকোর্টের রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল বুধবার (২রা মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১ লা মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে ভার্চুয়ালি এ শুনানি হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার আদালতে শুনানি হয়েছে। আদালত বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। তবে আদেশের আগে বুধবার আংশিক শুনানি হতে পারে।’ এর আগে গত সোমবার শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ওইদিন আদালতে বসেননি। ফলে এ বিষয়ে শুনানিও হয়নি। গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। পরে জায়েদের বিরুদ্ধে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’সহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ। এমনকি এ পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন। নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এদিকে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন জায়েদ খান। ফলে ৭ ফেব্রুয়ারি বোর্ডে তার প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ। রিটের শুনানি নিয়ে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত ওইদিনই স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নিপুণের আইনজীবী। ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। এসময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানানো হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আর হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য বলেন।