April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, May 23rd, 2022, 7:29 pm

জিআরপি থানায় ধর্ষণ: সেই পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামি ও সাবেক রেলওয়ে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি পাঠানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।

আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার যশোরে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দিন যশোর থেকে ট্রেনে করে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনে ওঠার পর টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর একজন নারী পুলিশসহ আরও দুজন পুলিশ তাকে কোন কিছু না বলে আটক করে। ওই সময় উপস্থিত নারী পুলিশ তাকে চড় মারে। এতে তার বাম চোখ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুপুরের দিকে ট্রেন খুলনায় পৌঁছালে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে কন্যা সন্তান ছিল। রাতে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি থানায় আসলে আটক হওয়া নারী বলেন, আমার কাছে পুলিশ কোন কিছু পায়নি তবে কেন আমাকে আটক রাখা হয়েছে। হাজত থেকে বের করে তাকে অফিস রুমে নেয়া হয়। তখন পুলিশ কর্মকর্তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিতে বলে।

এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে এবং এক সময়ে তাকে ফ্লোরে ফেলে দেয়। পরে চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

রাত ১টার দিকে আবারও থানায় আসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। রেলওয়ে থানার এক ডিউটি অফিসার রাতে চোখ বেধে তাকে ওসির রুমে দিয়ে আসেন। চোখের বাধন খোলার পর ওই নারীকে ধর্ষণ করেন খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি পাঠান। পরে মামলা না করার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খুলনা রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামে রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি উছমান গনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল ককরে পুলিশ। তবে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

—ইউএনবি