অনলাইন ডেস্ক :
মক্কা-মদিনার পরে মুসলমানদের কাছে পবিত্রতম স্থান ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদ। পবিত্র জুমার দিনে মুসল্লিদের ভিড়ে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত থাকে মসজিদটি। কিন্তু শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার দিনেও যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিক রকমের খালি ছিল পবিত্র এই প্রাঙ্গণ। হামাস-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে থমথমে পরিবেশ এখন ফিলিস্তিনজুড়ে। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রার্থনাকারী মুসলমানদের জন্য শুক্রবারের সমবেত প্রার্থনা একটি উল্লেখযোগ্য আচার। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ সম্ভবত কম্পাউন্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে। পশ্চিম তীর থেকেও প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে এবং কাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করছে ইসরায়েলি পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জেরুজালেমের অনেক রাস্তা নির্জন ছিল। কিন্তু শহরজুড়ে উল্লেখযোগ্য পুলিশ এবং সামরিক উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল। আল-আকসা প্রাঙ্গণ ইসলাম এবং ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে সম্মানিত স্থানগুলোর মধ্যে একটি। মুসলমানদের কাছে আল হারাম আল শরীফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত পবিত্র ভূমি কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। একটি স্থিতাবস্থা ব্যবস্থার অধীনে শুধু মুসলমানদের এখানে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
অমুসলিম দর্শনার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে এবং শুধু কমপ্লেক্সের নির্দিষ্ট এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অনেকেরই আশঙ্কা এখানে শুধু মুসলমানদেরই প্রার্থনার অধিকার রয়েছে এবং ইসরায়েল সেটি ক্ষুণ্ণ করেছে। ক্রমবর্ধমান উগ্র-ডানপন্থী ইহুদি আন্দোলন এবং ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী সরকারের মাধ্যমে এইস পবিত্র স্থানটি হুমকির সম্মুখীন। ফিলিস্তিনি উপাসক ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই এই স্থানে সংঘর্ষ হয়। গত এক বছরে বেশ কয়েক বার কম্পাউন্ডে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা আল-আকসার পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশে গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা করেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু