জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
আর মাত্র কয়েকদিন পর মুসলিম উম্মাহর ২য় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সারা দেশের ন্যায় জৈন্তাপুরে জমে উঠেছে গবাদিপশুর হাট।
উপজেলার চারটি হাটে জৈন্তাপুর, দরবস্ত,হরিপুর,চিকনাগোল ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন গ্রাম,ইউনিয়ন থেকে আসা গরু,মহিষ,ভেড়া ও খাঁসি।কেউ কেউ খামারি হিসেবে আবার কেউ পরম যত্নে লালন পালন করে বেড়ে তুলা পশুটিকে নিয়ে তুলছেন হাটে।দিন যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রি কিনি তত বাড়ছে।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনায় রয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত গরু ২০ মণ ওজনের সম্রাটকে নিয়ে।উপজেলার ৩ নং চারিকাঠা ইউনিয়নের পূর্ব নয়াখেল গ্রামে ৪০ বিঘা জমির উপর স্হাপিত গ্যালারিয়া এগ্রো ফার্মে বেড়ে ওঠা হলইস্টেইন ফ্রিজিয়ান প্রজাতির এই ষাঁড়।
গ্যালারিয়া ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাহিদ উদ্দিন জানান, আমাদের খামারে মূলত দুগ্ধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মুল প্রকল্প।আমাদের খামারে উৎপাদিত দুধ থেকে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “দুধমালাই” এর মিষ্টান্ন তৈরীর কাজে ব্যবহারিত হয়ে থাকে।তিনি জানান সম্রাট মূলত খামারের সিম্যান সংগ্রহ কাজে ব্যবহার হত।এখন খামারে উপযুক্ত ৬/৭ টি ষাঁড় থাকায় সম্রাটকে এই ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি।মূলত নেপিয়ার,পারা,জার্মান ঘাস ছাড়াও ভুট্টার সাইলেজ, ভূষি,সবজি ছিলো সম্রাটের প্রধান খাবার।প্রতিদিন তিনবার গোসল সহ আলাদা করে ফ্যানের নিচে পরম যত্নে বেঁড়ে উঠে সম্রাট। তাছাড়া উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত টিকা প্রদান সহ তদারকি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন খামারের বাহিরে নিয়মিত হাটানো হয় সম্রাটকে।
আসন্ন ঈদে আগ্রহী ক্রেতাদের এই গরু ক্রয়ের ইচ্ছা থাকলে চারিকাঠা ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব দিকে অবস্হিত গ্যালারিয়া এগ্রো ফার্মে এসে দেখতে হবে এবং ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো সাহিদ উদ্দিন গরুটির মূল্য হাঁকছেন ছয় লক্ষ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে কিছু কম রাখা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি