November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 15th, 2022, 7:39 pm

জ্ঞান ফিরলেও আইসিইউতে ভর্তি মোশাররফ রুবেল

অনলাইন ডেস্ক :

সতীর্থরা ২২ গজে খেলছেন আর হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাটাচ্ছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। গত কয়েক বছর ধরে এটাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে স্পিনিং এই অলরাউন্ডার প্রতিটি ক্ষণ জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। আইসিইউতে পড়ে রয়েছেন অসাড় হয়ে। রুবেলের বাল্যবন্ধু নিয়াজ মোর্শেদ। এখন নিয়মিত ফেসবুকেই রুবেলের শারীরিক অবস্থার সবশেষ তথ্য জানান দিচ্ছেন তিনি। গত রোববার তেমনই একটি পোস্টে ছবি শেয়ার করেছিলেন। হুইলচেয়ারে বসা রুবেলের অসাড় ছবিটা দেখে হতভম্ব সবাই। মোশাররফ রুবেলের মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসা হয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে ভারত, সিঙ্গাপুরে। শুরুতে কিছুটা উন্নতি হলেও ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে অবস্থার। গত বছরের শেষ দিকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে আবার ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখে ঢাকা ফেরার পর থেকে ক্রমাবনতি ঘটেছে তার। গত কিছু দিন ধরে একদমই খেতে পারছিলেন না। ফলে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় গত সোমবার মোশাররফ রুবেলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। মোশাররফ রুবেলের শারীরিক অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে স্ত্রী চৈতিবলেছেন, ‘গত মাসে ভারত থেকে আসার পর থেকে কিছুই খেতে পারছিল না। এ কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে ও। গতকাল (সোমবার) অবস্থা একটু বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। গতকালের চেয়ে আজকের (মঙ্গলবার) অবস্থা কিছুটা ভালো। আজ একটু নড়াচড়া করছে। কথা বলতে না পারলেও রেসপন্স করছে। চিকিৎসকরা বলেছেন কিছু দিন আইসিইউতে থাকতে হবে। সোডিয়াম কমাতে হবে। পানিশূন্যতা পূরণও খুব জরুরি।’ ২০১৯ সালের মার্চে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। এরপর দেশে ফিরে এলেও কেমো এবং রেডিও থেরাপির জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুরে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হয়েছে রুবেলকে। ওই বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ কেমো দেওয়া হয়। এক বছর ফলোআপে ছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই ২০২০ সালে সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু নভেম্বরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় সবকিছু আবারও থমকে গেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমআরআই করার পর দেখা গেছে, পুরনো টিউমারটি আবার নতুন করে বাড়ছে। তারপর থেকে আবার শুরু হয়েছে কেমোথেরাপি। সব মিলিয়ে ২৪টি কেমোথেরাপি নিয়েছেন রুবেল।