November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 9th, 2021, 4:36 am

জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে অস্থিরতা

অনলাইন ডেস্ক :

২০১৪ সালের পর চলতি বছর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এর প্রভাব পড়েছে তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপর। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। তেলের দাম কমাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের চাপ সত্ত্বেও আগের অবস্থানে অনড় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও রাশিয়াসহ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও উত্তোলন বাড়াবে না বলে জানিয়েছে ওপেক। যে কারণে তেলের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্থির আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার। মূল কারণ হিসেবে উত্তোলন ও সরবরাহকেই দায়ী করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৫টি তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট ওপেক ও রাশিয়ার পাশাপাশি তেল সরবরাহকারী দেশগুলো উত্তোলন সক্ষমতা বাড়াতে নারাজ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ওপেক ও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে চাপ দিয়ে আসলেও আপাতত তেল উৎপাদন বাড়াতে চায় না জোটটি। গেল কয়েক বছর ধরে তেলের বাজারে যখন মন্দা চলছিল তখন করোনার কারণে গেল বছর এপ্রিলে হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম মাইনাস ৩৭ ডলারে নেমে যায়। করোনার ধকল সামলিয়ে গেল বছরের শেষ দিকে যখন দেশগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল তখন আবারো বেড়ে যায় তেলের দাম। ওপেকের মতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির চেয়ে চাহিদা ও সে অনুযায়ী জোগানই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি প্রায় এক ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ টাকা। ভারতে যেটির দাম বাংলাদেশি টাকায় ১০০ টাকার ওপরে। ইউরোপের দেশগুলোতে ডিজেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৭ টাকার ওপরে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলারের বেশি। ওপেক ও তেল রপ্তানিকারকদেশগুলো সরবরাহ না বাড়ালে আগামী বছরের জুন নাগাদ এটি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।