November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, January 20th, 2023, 8:33 pm

জয়-ইয়াসিরের নৈপুন্যে টানা দ্বিতীয় জয় খুলনার

অনলাইন ডেস্ক :

মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ-সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক ইয়াসির আলির ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৯তম ম্যাচে খুলনা ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে জয়ের ৫৯ ও ইয়াসিরের ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রানে ৪ বল বাকী রেখে ম্যাচ জিতে নেয় খুলনা। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে উঠলো খুলনা। ৬ ম্যাচে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে চট্টগ্রাম। স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ইয়াসির। ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে আউট হন ৬ রান করা নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’দাউদ। তবে পাওয়ার প্লে’র সুবিধা নিতে মারমুখী ব্যাট করেন চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার উসমান। তার ২২ বলে ৩৩ রানের সুবাদে ৬ ওভার শেষে ৫৪ রান পায় চট্টগ্রাম। দশম ওভারে উসমানকে বিদায় করেন পাকিস্তানের পেসার আমাদ বাট। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন উসমান। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সাথে ৪৪ বলে ৭০ রান যোগ করেন এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান উসমান। উসমান ফেরার পর আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে দলের রান ১শতে নিয়ে যান আফিফ। ১৬তম ওভারে চট্টগ্রাম শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ। ৩১ বলে ১টি করে বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করা আফিফকে এবং পাকিস্তানের খাজা নাফিকে ৫ রানে ফিরিয়ে দেন ওয়াহাব। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। রাসুলি ২৫ রানে রান আউট ও জিয়াউর রহমান ১১ রান করে সাইফুদ্দিনের শিকার হন। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের শেষ ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে শিকার করে ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ওয়াহাব। ৪০ রানে ২ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন। ১৫৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় খুলনা। চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমের বলে তাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে সাবধানে খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার তামিম ও তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান পায় খুলনা। ৬ ওভার শেষে রান রেট বাড়িয়েছেন তামিম-জয় জুটি। মারমুখী মেজাজে খেলে ৩৫ বলে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। ১৩তম ওভারে দলের রান ১শ পার করেন তামিম-জয়। ঐ ওভারের শেষ বলে বাঁ-হাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামানের বলে আউট হন ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৩৭ বলে ৪৪ রান করা তামিম। হাফ-সেঞ্চুরি পর ১৫তম ওভারে নিহাদুজ্জামানের দ্বিতীয় শিকার হন জয়। ৪৪ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে ৫৯ রান করেন তিনি। ৫ রানের ব্যবধানে তামিম-জয়ের বিদায়ে রানের গতি কমে খুলনার। এ সময় শেষ ৪ ওভারে ৪৪ রান দরকার পড়ে তাদের। ১৭তম ওভারে পাকিস্তানের আজম খানের ২টি চারে ১০ রান, ১৮তম ওভারে ইয়াসিরের ২টি ছয় ও ১টি চারে ১৯ রান ও ১৯তম ওভারে ইয়াসিরের ১টি ছক্কায় ১০ রান পায় খুলনা। ১৭ থেকে ১৯ ওভারে ৩৯ রান তুলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় খুলনা। শেষ ওভারে ৫ রানের প্রয়োজন দ্বিতীয় বলে ছক্কায় মিটিয়েছেন ইয়াসির। ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করেন ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারা ইয়াসির। ১৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আজম। চট্টগ্রামের নিহাদুজ্জামান ৩২ রানে ২ উইকেট নেন।