March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, June 29th, 2022, 7:13 pm

ঝিনাইগাতীতে এগারোশ দরিদ্র কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৯জুন বুধবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ১১শ প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষীদের মাঝে কৃষি প্রনোদনা হিসেবে ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়। উক্ত প্রণোদনায় প্রতি কৃষকের জন্য ৫কেজি আমন ধান বীজ, ১০কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হযয়েছে। উক্ত প্রণোদনা প্রদান করাতে দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষীরা উপকৃত হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১/২২ চলতি অর্থ বছরের খরিপ ২০২২/২০২৩ মৌসুমের রোপা আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের জন্য কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন দিলদার এর সভাপতিত্বে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আল মাসুদ।
প্রকাশ থাকে যে চলতি মৌসুমে দুই দফা পাহাড়ি ঢলে অত্র এলাকা বন্যা কবলিত হয়। এতে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই উক্ত কৃষকদের সহযোগিতার জন্য আরো বেশি পরিমাণ কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসনের মাধ্যমে সহযোগিতা করা জরুরী প্রয়োজন। দু-‘দফা বন্যায় ঘর-বাড়ি, ফসল, হাঁস মুরগী গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে দরিদ্র কৃষকেরা অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুই দফা বন্যার কবলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কারণে বর্তমানে অনেক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষী আর্থিক সংকটের কারণে চলতি আমন মৌসুম উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে ও উৎপাদনের স্বার্থে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃদেরকে কৃষি প্রণোদনা বা কৃষি পুনবাসন সহযোগিতা করা হলে চলতি মৌসম আমনের উৎপাদনের সহায়ক ভূমিকা পালন করা হতো। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হত অপরদিকে উৎপাদনের সহায়ক হতো। প্রকাশ থাকে যে শেরপুর জেলার ৫ টি উপজেলায় কৃষি ফসল উৎপাদনে শীর্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। উৎপাদিত ধান, পাট, শাক সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হলে দরিদ্র প্রন্তিক চাষীদের সরকারি সহায়তা অতীব জরুরী প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করে।