মোঃ আবু রায়হান, শেরপুর (ঝিনাইগাতী):
শেরপুরের ঝিনাইগাতী-গুরুচরণ দুধনই সড়কের ভালুকা এলাকায় কালভার্ট ধ্বসে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এতে যান চলাচলে দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। যেকোন সময় পুরো কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দ্রুততম সময়ে কালভার্টটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ঝিনাইগাতী থেকে গুরুচরণ দুধনই পর্যন্ত এলজিইডির ১১ কিলোমিটার সড়টি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ ও তাদের কৃষিপণ্যসহ নানা ধরনের মালামাল নিয়ে যান চলাচল করে থাকে। কিন্তু গত কয়েক মাস পূর্বে ভারি যানবাহনের চাপে কালভার্টটির মাঝখানে ও অপর পাশে কিছু অংশ ভেঙে যায়। পরে এলজিইডির পক্ষ থেকে ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়। তবে এ মেরামত কোনো কাজে আসেনি। যানবাহনের চাপে আবারও ভেঙে যায় কালভাটের পুরোনো ভাঙা অংশ। ফলে পূনরায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ পথে যাতায়াত ব্যবস্থা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কালভার্টটি অনেকটা জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। মাঝামাঝি ও একপাশে ঢালাই ধ্বসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। স্থানীয়রা দূর্ঘটনা এড়াতে কালভার্টটির মাঝে একটি বাঁশের ওপর লাল রঙের কাপড় ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ও ট্রলি।
এ সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম বলেন, “প্রতিদিন ভালুকা থেকে ঝিনাইগাতী বাজারে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু কালভার্টটির এমন অবস্থা, এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে”। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, কালভার্টটির জন্য এ পথে চলাচল করতে ভয় করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি বক্সকালভার্ট র্নিমাণের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ওইস্থানে একটি বক্সকালভার্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাই বক্সকালভার্ট র্র্নিমাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি