জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন দুই দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শত শত পরিবার এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে। রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে বহু ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার স্রোতে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে বহু পরিবার এখন অসহায় দিনযাপন করছে। গত রবিবার সরকারিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। সোমবার দুপুরে সরকারিভাবে মালিঝিকান্দা ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ লাইলী বেগম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান সহ আরও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জন প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত শতাধিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়াও বন্যায় নিহত পরিবারের মাঝে প্রতিজনকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। একজন ঝিনাইগাতী ইউনিয়নের বৈরাগী পাড়া গ্রামের আশরাফ আলী ধানশাইল ইউনিয়নের আবুল কালাম। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বন্যায় কবলিত হয়েছে। সকল ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা জরুরি প্রয়োজন। অত্র উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিংহভাগ পরিবার এখনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি