ঝিনাইদহ সদরের তিওড়দহ গ্রামে অপহরণ মামলা তুলে না নেয়ায় রজনী খাতুন (৩৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী।
আহতের স্বজনরা জানায়, গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তিওড়দহ গ্রামের কামাল হোসেনের নাবালিকা মেয়ে মিনা খাতুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী মিজানুরের ছেলে হৃদয় হোসেন। এ ঘটনায় কামাল হোসেনের স্ত্রী রজনী খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় বাদী ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
স্বজনরা জানায়, মামলা তুলে না নেয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর মিজানুর রহমান, তার ভাই আলিনুর রহমান, শওকত হোসেন পিকুল হোসেন, মকছেদ আলী, ইউনুচ আলী, লিটন হোসেন, মোক্তার হোসেন, আব্দুল ওরফে নব, আজিম হোসেন, চঞ্চলসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জন বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি রজনী খাতুনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত রজনী খাতুন বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই রবি শংকর নাগ জানান, মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পিকুল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি