নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকা অভিমুখী লেনের টঙ্গী ব্রিজের পলেস্তরা খসে পড়েছে গত মঙ্গলবার। ঝুঁকি এড়াতে বিআরটি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা বুধবার রাত থেকে ঢাকা অভিমুখী লেনটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে সড়কটিতে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ঢাকামুখী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে রাজধানীতে প্রবেশ করায় সড়কের টঙ্গী ব্রিজ এলাকায় যানজট অসহনীয় হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় সড়কপথের যাত্রীরা রাজধানীতে প্রবেশের জন্য ট্রেন ব্যবহার করায় রেলপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। বিআরটি প্রকল্পের (সেতু বিভাগের) পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার থেকে ব্রিজটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। চলাচল উপযোগী করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজারের পাশে ব্রিজের কিছু অংশের ঢালাই খসে পড়ে। সেখানে লোহার পাটাতন ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ঝুঁকি থাকায় ব্রিজের ওপর দিয়ে বুধবার রাত থেকে যানবাহন চালাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হবে। বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলীরা ইতোমধ্যে ব্রিজটি পরিদর্শন করে ওইসব মতামত দিয়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রিজের আনুমানিক পাঁচ ফুট দীর্ঘ ও তিন ফুট প্রশস্ত হয়ে পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। ব্রিজের ওপর থেকে নিচে ড্রেন, পানি সব দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে যানবাহন বন্ধ থাকলেও সাধারণ হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে ব্রিজের ওপর দিয়েই চলাচল করছে। গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম পলাশ ঢাকার সিঙ্গার কোম্পানির একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, সর্বদা সড়কপথেই যাতায়াত করতেন। অনিশ্চয়তা থাকায় শনিবার থেকে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে যাতায়াত করছেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে সড়কপথে যাতায়াত করতেন। কিন্তু সড়কের সমস্যার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে রেলপথে যাতায়াত করছেন।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের মাস্টার হালিমুজ্জামান বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে গত তিন দিন ধরে রেলপথে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, এমনিতেই এক লেন তার ওপর গাড়ির চাপ। আমরা উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় নিচ্ছি। আর ঢাকার গাড়িগুলো কামারপাড়া সড়ক দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। ফলে ইউটার্নে কিছুটা সময় লাগলেও এতে কিছুটা সুফল পাচ্ছি আমরা। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরাও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন। তবে সাধারণ মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়েন সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি