অনলাইন ডেস্ক :
শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে বিপর্যস্ত আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে রাজ্যের গভর্নর আ্যন্ডি বেশির জানিয়েছেন। টর্নেডোতে নিখোঁজ লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। গভর্নর বলেন, কেনটাকির ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো যাতে কমপক্ষে ৮০ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। গভর্নর অ্যান্ডি বেশির বলেন সরাসরি টর্নেডোর গতিপথে পড়া কোন কিছু বিধ্বস্ত হতে বাকি নেই। অন্য চারটি অঙ্গরাজ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনাকে বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ ও আবর্জনা সরানোর কাজ করছেন, অন্যদিকে ত্রাণকর্মীরা লোকজনের মাঝে পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জেনারেটর বিতরণ করছেন। কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর হচ্ছে মেফিল্ড। সেখানে সফরে গিয়ে গভর্নর অ্যান্ডি বেশির বলেন, “আমরা এখনো আশা করছি ধ্বংসস্তূপ সরানোর মধ্যদিয়ে অলৌকিকভাবে কোনো ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।” তবে গত শনিবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গভর্নর অ্যান্ডি বেশির ভয়াবহ এই টর্নেডোতে কত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায় নি। ভয়াবহ এই টর্নেডো আঘাত হেনেছে ২২৭ মাইল পথ জুড়ে। এর আগে ১৯২৫ সালে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ টর্নেডো হয়েছিল মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে। ওই টর্নেডোর গতিপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২১৯ মাইল। ভয়াবহ ওই টর্নেডোতে নিহত হয়েছিল ৬৯৫ জন। পার্সটুডে
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু