অনলাইন ডেস্ক :
টাইফুন খানুনের প্রভাবে জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া ও কাগোশিমা প্রিফেকচারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুইজনের। বৃহস্পতিবার (৩রা আগষ্ট) ঝড়টি খুব ধীর গতিতে সরতে থাকায় এর ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘয়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাই ভাষার শব্দ খানুন মানে ‘কাঁঠাল’। এই টাইফুন গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে ধীরগতিতে উত্তরপশ্চিম দিকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। এ সময় ঝড়টি ঘণ্টায় একটানা ১৬২ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বইছিল, যা কখনো কখনো দমক হওয়া আকারে ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছিল।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ওকিনাওয়ায় বাড়িতে আগুন লেগে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি মোমবাতি ব্যবহার করছিলেন আর তা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়ির গ্যারেজ ধসে পড়ে নব্বই-উর্ধ্ব আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ওকিনাওয়া ও কাগোশিমা প্রিফেকচারে অন্তত ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে এনএইচকে জানিয়েছে। ঝড়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ওকিনাওয়ার প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। জনপ্রিয় এই পর্যটন গন্তব্যটির প্রধান প্রবেশপথ নাহা বিমানবন্দর টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার আবার কার্যক্রম শুরু করেছে। তারপরও ৩০৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বলে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল শুক্রবার ঝড়টি হঠাৎ তীক্ষ্ণ মোড় নিয়ে পৃর্ব দিকে ঘুরে গিয়ে জাপানের মূল দ্বীপগুলোর দিকে এগোতে শুরু করবে। এ পরিস্থিতিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেছেন জাপানের আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার টাইফুন খানুনের কারণে তাইওয়ানে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। এখানে প্রায় ৪০টির মতো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সূচি বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু