অনলাইন ডেস্ক :
টাইফুন ‘হাইকুই’ যখন গত রোববার বিকালে তাইওয়ানের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে- সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার। সঙ্গে ছিল ভারী বৃষ্টিপাত। এতে ৩০ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রবল ঝড়ে বাধার মুখে পড়ে শত শত ফ্লাইট। তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। গত চার বছরের মধ্যে দ্বীপটিতে তান্ডব চালানো প্রথম টাইফুন। পরবর্তীতে দ্বীপের দক্ষিণে সড়ে যায় ঝড়টি। দেশটির সরকার জানিয়েছে, হাইকুইয়ের তান্ডবে ২ লাখ ২৪ হাজার পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত রোববার থেকে মাত্র ৩৪ হাজার সংযোগ পুনরুদ্ধার করে গেছে। অর্ধেকই তাইতুংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টিতে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দক্ষিণে, পূর্ব ও মধ্য তাইওয়ানে এখনও ক্লাস বন্ধ। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে কর্মজীবীদের জন্য। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ঝড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ৫ জন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৭ হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আরও ১৮৯টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা হয়েছে। দ্বীপের চারপাশে চলাচলে ব্যবহৃত ফেরিও বন্ধ। তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাইকুই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২