জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রী ছুমাইয়া আক্তারকে (১৬) গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যা চেষ্টাকারী প্রেমিক মনির হোসেনের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, আহত মনির ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যায়। মনিরের খালা রোজিনা বেগম বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। মনিরের লাশ এখন মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হবে। এর আগে গত বুধবার সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে সুমাইয়াকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে মনির তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মনির নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। ছায়া তদন্ত করে দিন শেষে টাঙ্গাইলের র্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। এরপর মনিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢামেক হাসপাতালে র্যাব হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। মৃত মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে এলেঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অবস্থায় মনিরের মৃত্যু খবর পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে লাশ মশাজান গ্রামে আনা হবে। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনো অফিসিয়ালি আমাকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি