March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 15th, 2021, 8:25 pm

টাঙ্গাইলে ৯ বছর ধরে নিখোঁজ নারী উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক :

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় দীর্ঘ নয় বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী মোছা. আফরোজা বেগমকে (৫৫) ফিরে পেয়েছেন স্বামী। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মির্জা পুর থানার ওসি শেখ রিজাউল হক স্বামী লুৎফর রহমানের কাছে আফরোজাকে হস্তান্তর করেন। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় থানা পুলিশ আফরোজার পরিচয় নিশ্চিত করে স্বামীর কাছে হস্তান্তর করে। জানা গেছে, আফরোজা বেগম গত এক সপ্তাহ ধরে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন। তিনদিন আগে কে বা কারা তাকে মির্জাপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার ছবি দিয়ে পরিচয় নিশ্চিতের জন্য ‘মানবতায় আমরা’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানের নজরে আসলে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম আফরোজা বেগমের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় জানতে পারেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানা পুলিশ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে আফরোজার পরিচয় নিশ্চিত করেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আফরোজার স্বামী লুৎফর রহমান, মেয়ের জামাই ও শ্যালকের স্ত্রীসহ কয়েকজন মির্জাপুর থানায় এসে পরিচয় নিশ্চিত করে তাকে বুঝে নেন। এ সময় ‘মানবতায় আমরা’ সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আফরোজার স্বামী লুৎফর রহমান বলেন, ২৫-২৬ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আফরোজা। নয় বছর আগে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাইনি। আজ মির্জাপুর থানার পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তার পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন আফরোজা পড়ে আছেন এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়ে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করি। পরে আফরোজার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার স্বামীর কাছে হস্তান্তর করি।