রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকালে জুকি, লোডস্টার, সারশ, ভিশন গার্মেন্ট, পলকা, এমবিএম গার্মেন্টসহবেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা মিরপুর-১৩, ১৪ এর পুলিশ স্টাফ কলেজ, মিরপুর-২ ও ১০ নম্বর এবং কচুক্ষেত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভের কারণে মিরপুর ও এর চারপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের বেতন তাদের সংসার চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন শ্রমিকরা।
লোডেস্টার গার্মেন্টসের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা যে বেতন পাচ্ছি তা আমাদের তিনবেলা খাবারের জন্য যথেষ্ট না। তাই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছি।’
ভিশন গার্মেন্টসের শ্রমিক মনির হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আমাদের আশপাশের সব গার্মেন্টসে আমরা খোঁজ নিয়েছি। প্রত্যেক মালিক একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেতন বাড়াচ্ছে না। আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি।’
মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক ফাঁকা করেছে। কোন সড়কে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান বা অবরোধ দেখতে পাচ্ছি না।’
একই দাবিতে সোমবার সকালে উত্তরায় ইন্ট্রাকো ডিজাইন, ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা কয়েকটি বাস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এর আগে শনিবার মিরপুর-১০ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড় করানো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরে এ ঘটনায় আট থেকে দশজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি