অনলাইন ডেস্ক :
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। আসরের শুরুর ৫ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই হেরে বসেছিল তারা, আর একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয় পরিত্যক্ত। এতে করে পায় ১ পয়েন্ট। দলের এমন অবস্থায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট ম্যাচের ফাঁকে এক দিন খেলতে নামেন সাকিব। দলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ফেরায় যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়, আর ক্লাবটি তুলে নেয় আসরের প্রথম জয়। মধ্যের এক ম্যাচও জয় তুলে নিয়েছিল। এছাড়া আইরিশদের বিপক্ষে এক দিন আগে টেস্ট শেষ হওয়ায় গত শনিবার সাদা-কালোদের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের দলে পেয়ে আসরে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে নিজেদের পায়ের নিচের জমিন শক্ত করছে মোহামেডান। গত শনিবার নিজেদের অষ্টম ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে সিটি ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। আর এই ম্যাচেই ১০১ রানের বড় জয় পায় মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি। তাদের এই বড় জয়ের নায়ক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তিনি দলের হয়ে খেলেছেন ১১৪ রানের ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। তাতে মোহামেডান ৭ উইকেটে ৩৪৮ রানের বিশাল পুঁজি পায়। পাহাড়সম এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিটি ক্লাব ৭ উইকেটে ২৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি। দলে ফেরা সাকিব আল হাসানও এ জয়ে রেখেছেন ভূমিকা। ব্যাট হাতে ১৬ বলে করেন ২৬ রান ও বল হাতে ১০ ওভারে ১ মেডেনে ৩৬ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। এদিকে এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারায় মোহামেডান। তিনে নেমে সৌম্য ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দলকে টানেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ৭১ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন ইমরুল। বাঁহাতি এই ওপেনার খেলেছেন ১১৪ রানের ইনিংস। তাদের সঙ্গে ব্যাট হাতে বড় পুঁজি পেতে ৫২ বল ৬৫ রান করেছেন অঙ্কনও। শেষ দিকে নেমে ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। এতে করে নির্ধারিত ওভারে ৩৪৮ রানের বড় পুঁজি পায় মোহামেডান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিটি ক্লাবের কেউ বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হয়ে থাকতে পারেননি। সাকিব নিজের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আউট করেন জয়রাজ শেখ ইমনকে। এরপর নাজমুল অপুর শিকার হন আরেক ওপেনার তৌফিক খান তুষার (৩৬)। ভালো করতে পারেননি টপ অর্ডারের বাকিরা। তবে মিডল অর্ডারে সিটি প্রতিরোধ গড়ে আসিফ আহমেদ রাতুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাটে। রাতুল ৫২ ও মামুন ৭০ রান করে জবাব দিলেও তা পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র। বল হাতে মোহামেডানের সেরা জ্যাক লিনটট। এ বাঁহাতি লেগ স্পিনার সিটি ক্লাবের তুলে নিয়েছে ৩ উইকেট এ সময় খরচ করেছে ৬৮।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা