অনলাইন ডেস্ক :
আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার ছাপ যেন পড়ল লিভারপুলের খেলায়। প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিতে দেখা গেল না সালাহ-মানেদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পোর্তো উজ্জীবিত ফুটবল খেলল বটে, কিন্তু আটকাতে পারল না লিভারপুলের জয়রথ। অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। থিয়াগো আলকানতারা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহামেদ সালাহ। টানা পাঁচ জয়ে ‘বি’ গ্রুপে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ৮৭তম মিনিটে মেসিয়াসের গোলে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে এসি মিলান জিতেছে। তাতে জমে উঠেছে এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় ওঠার জন্য দ্বিতীয় টিকেটের লড়াই। লিভারপুলের মাঠে হারলেও ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পোর্তো। ৪ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে মিলান তৃতীয় ও আতলেতিকো চতুর্থ স্থানে। এই তিন দলের সামনেই আছে গ্রুপ পর্ব পেরুনোর সুযোগ। চলতি আসরে দুই লেগেই পোর্তোকে হারাল লিভারপুল। প্রথম পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ওই ম্যাচে সালাহ ও রবের্তো ফিরমিনো জোড়া গোল করেছিলেন, সাদিও মানে একটি। শুরু থেকে লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে পোর্তো। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে গোলের দেখা পায়নি পর্তুগিজ দলটি। চতুর্থ মিনিটে এভালিনসনের শট ঠেকান লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসন। এরপর মেহেদি তারেমি, ওতাভিও ভালো সুযোগ নষ্ট করেন পোস্টের বাইরে দিয়ে মেরে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর দ্বিতীয় পর্তুগিজ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শততম ম্যাচ খেলতে নামা পেপে চোট পেয়ে ২৫তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় নামেন ফাবিও কারদোসো। প্রথমার্ধে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকার মাঝে ৩৮তম মিনিটে লিভারপুলের সাদিও মানে কোনাকুনি শটে জালে বল জড়ান; কিন্তু ভিএআরে ধরা পড়ে সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড ছিলেন অফসাইডে। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে জোয়াও মারিওর ফ্রি কিক আলিসন ফিস্ট করে ফেরানোর পর বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান মাতেউস উরিবে। শরীরটা ঘুরিয়ে কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডারের নেওয়া শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৫২তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইনের ফ্রি কিক এক ডিফেন্ডার হেডে ফেরানোর পর বক্সের উপরে পেয়ে যান আলকানতারা। ২৫ গজ দূর থেকে এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ভলি চোখের পলকে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি পোর্তো গোলরক্ষক। লিভারপুলও ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নিতে শুরু করে। ৭০তম মিনিটে সালাহর গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। নিখুঁত ব্যাক হিলে জর্ডান হেন্ডারসনকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সালাহ। সতীর্থের ফিরতি পাস পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ভাগ্যও লেখা হয়ে যায় অনেকটাই। ক্লপের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে জয়ের সংখ্যাটাকে ১৭-তে উন্নীত করল লিভারপুল। জার্মান এই কোচের হাত ধরে অ্যানফিল্ডে খেলা আগের ২৩ ম্যাচের মধ্যে তাদের হার মাত্র দুটি, ড্র পাঁচটি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা