অনলাইন ডেস্ক :
২০২০ সালে ভারত চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক বন্ধ করে দেয়। এবার নেপালও সেই পথে হাঁটল। গত সোমবার বিবৃতি দিয়ে নেপালের সরকার জানিয়েছে, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। ক্যাবিনেট মন্ত্রী রেখা শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরেই সমস্ত ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে বলা হয়েছে দ্রুত অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়ার জন্য। গতকা সোমবারের মধ্যেই প্রায় পুরো নেপালে টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেখা জানিয়েছেন, ‘টিকটকের মাধ্যমে সমাজে অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ছিল। সে কারণেই এই চরম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে অবশ্য সরকারের ভেতরে এবং বাইরে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গ্যাওয়ালি বলেছেন, ‘অন্য সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এই ধরনের অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি থাকে। সেগুলোকেও কী বন্ধ করে দেওয়া হবে?’ তিনি বলেছেন, বন্ধ করে নয়, কনটেন্টের ওপর সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কোথায় কী হতে যাচ্ছে তার ওপর নজরদারি করতে হবে। কিন্তু কোনো অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না। নেপালি কংগ্রেসের নেতা গগন থাপা জানিয়েছেন, ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এভাবে সমাজকে রক্ষা করা যাবে না।
২০২০ সালে লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ভারত চীনের অ্যাপ টিকটক বন্ধ করে দিয়েছিল। ভারতের বক্তব্য ছিল, এই অ্যাপ ভারতের গোপন তথ্য বাইরে ফাঁস করে দিচ্ছে। ওই সময় ভারতে কয়েক কোটি টিকটক ব্যবহারকারী ছিল। নেপালেও টিকটক অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু